কেপটাউন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের দল বেধে বল বিকৃতির পর আবারও আলোচনার তুঙ্গে টেম্পারিং। চারদিকে যখন নিন্দার ঝড় তখন গর্ব বাংলাদেশের। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনোই কোন টাইগার ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ওঠেনি বল বিকৃতির অভিযোগ।
বল টেম্পারিং করে বাংলাদেশ অতীতে কখনই অন্যায় সুবিধা না নেয়ায় গর্ব করলেন সাবেক তিন অধিনায়ক আকরাম খান, হাবিবুল বাশার সুমন ও খালেদ মাহমুদ সুজনও। এছাড়াও জাতীয় দলে পেসার তাসকিন আহমেদ বলল, ক্রিকেটের চেতনাবিরোধী কাজ খেকে তরুণ খেলোয়াড়দের বিরত থাকা উচিত।
হাবিবুল বাশার সুমন: আন্তর্জাতিক ম্যাচে কখনোই হয়নি আমাদের। আর ঘরোয়াতে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বলের আকৃতি পরিবর্তন করার মতো কিছু দেখিনি। এখন পর্যন্ত আমাদের ছেলেদের মধ্যে এই জিনিসটা দেখিনি। আমরা আসলে অভ্যস্ত না, আমাদের ছেলেরা অভ্যস্ত না। একটা ফার্স্ট ক্লাস দলে খেলতাম, ওরকম সিগনিফিকেন্ট কিছু না। কেউ কেউ বলত একটা সাইড বেশি শাইন করছে। ভেসলিনটা (পেট্রোলিয়াম জেলি) ওরা ব্যবহার করত। ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচে আমরা আসলে করিনি, দেখিওনি। টেম্পারিং করাটা আসলে একটা আর্ট। আমাদের ছেলেরা ওই পথে কখনো হাঁটেনি।
আকরাম খান: বাজে কিছু করে ম্যাচ জেতার মনোভাব আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে নেই। এটা সামনেও থাকবে না বলেই আমার বিশ্বাস। ঘরোয়া ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত এরকম কোন ব্যাপার আসেনি।
খালেদ মাহমুদ সুজন: আমরা সবসময় ফেয়ার ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের এমন (টেম্পারিং করার) বিশেষজ্ঞও নাই! পাকিস্তানি অনেক খেলোয়াড় বাংলাদেশে লিগ খেলতে আসত। ঢাকা লিগে এটা অনেক হতো। অনেক অভিযোগ ছিল এটা নিয়ে। ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে দেখা যাবে, কোনো বোলার প্রথম ৫ ওভারে ৪০ রান দিত, পরে ৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নিত। বল রিভার্স হতো সেই কারণে। পাকিস্তানিরা যখনই আসত এটা হতো। ধরে নিতাম তারা এটা জানে, তাই করে। কিন্তু এবার যেটা হল, খুবই দুঃখজনক। এত বড় বড় দল তাদের কেনো এসব করতে হবে? আমরা করলে কি হতো জানি না। কিন্তু বাংলাদেশের কাউকে কখনও করতে দেখিনি।
তাসকিন আহমেদ: এটা ক্রিকেটের চেতনাবিরোধী। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের কাছে এটা আশা করা যায় না। সব ক্রিকেটারের বিরত থাকা উচিত। সত্যি বলতে, বল যখন একদিকে রাফ হয়, তখন সেটা রিভার্স হয়ই। আন্তর্জাতিক ম্যাচে অনেক ক্যামেরার মধ্যে এটা করা কঠিন। এটা ঘরোয়া ক্রিকেটেও করা উচিত নয়। যেহেতু আন্তর্জাতিক ম্যাচে ধরা খাওয়া লাগে। এটা ক্রিকেটের চেতনাবিরোধী। বিশেষ করে তরুণ খেলোয়াড়দের বেশি বিরত থাকা উচিত।