দুই বছর পর দলে ফিরে চেরিশেভের দুই গোল!

চোটের ছোবলে খেলতে পারেননি ২০১৪ বিশ্বকাপ। দুই বছর পর ইউরোতেও খেলা হয়নি। রাশিয়ার হয়ে সর্বশেষ মাঠে নেমেছিলেন ২০১৫ সালের নভেম্বরে। দুই বছরের বেশি সময় পর চেরিশেভ এবার বিশ্বকাপ দিয়ে ফিরেছেন জাতীয় দলে। আর ফিরেই কিনা জোড়া গোল! এর চেয়ে ভালো প্রত্যাবর্তন আর কী হতে পারে!

সৌদি আরবের বিপক্ষে কাল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ২৪ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠে নেমেছিলেন চেরিশেভ। প্রথমার্ধ শেষের ২ মিনিট আগে নিজের প্রথম গোলটি পেয়ে যান ২৭ বছর বয়সী এ উইঙ্গার। যোগ করা সময়ে তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় গোল। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই খেলোয়াড় রাশিয়ার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পেয়েই ভীষণ খুশি ছিলেন। কিন্তু মাঠে নেমেই যে জোড়া গোল পেয়ে যাবেন, সেটা বোধ হয় স্বপ্নেও ভাবেননি।

এমন প্রত্যাবর্তন স্বাভাবিকভাবেই ছিল চেরিশেভের স্বপ্নসীমার বাইরে। তাই ম্যাচ শেষে তাঁর ভাষ্য, ‘এ রকম কিছু স্বপ্নেও ভাবিনি। স্কোয়াডে আছি—এটা জানতে পেরেই খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি এমন কিছু ঘটতে পারে।’

টাইম মেশিনে চেপে একটু পেছনে ফিরে গেলে চেরিশেভের সোনালি দিনগুলো দেখতে পাওয়া যায়। রাশিয়ার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনি খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদে। স্প্যানিশ ক্লাবটির বয়সভিত্তিক দলে বেড়ে ওঠা এই উইঙ্গারের কপাল খারাপ। তাঁর নিবন্ধন-ভুলের খেসারত গুণে ২০১৫-১৬ মৌসুমে কোপা ডেল রে থেকে ছিটকে পড়েছিল রিয়াল। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে এই টুর্নামেন্টে খেলিয়েছিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

চেরিশেভ এরপর চোটে পড়লেন। সেই মৌসুমের শেষটায় আর মাঠে নামা হয়নি। ২০১৬ সালে তাঁকে ভিয়ারিয়ালে বেচে দেয় রিয়াল। প্রতিভাবান এই উইঙ্গার বিশ্বকাপে তাঁর প্রথম ম্যাচেই দ্যুতি ছড়িয়েছেন। ২৩ মিনিটে প্রথম গোলটা করেছেন দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে। পরেরটা বাঁ পায়ের হাফ ভলি শটে করা গোল। দারুণ শুরু করতে পেরে চেরিশেভ নিশ্চয়ই ভীষণ খুশি? হ্যাঁ, সন্তুষ্ট, তবে সেটা শুধুই এই ম্যাচে। চেরিশেভের যুক্তি, ‘জয় পাওয়ায় ভালো লাগছে কিন্তু এখানেই থামা যাবে না। মনোযোগ হারালে আমরা যেকোনো সময় ছিটকে পড়তে পারি। এই পর্যায়ে ভালো করতে হলে দল হিসেবে খেলতে হবে।’

এই বিভাগের অন্যান্য খবর লেখক খেকে আরও